ঢাকা: আশা করছি, চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন পাবো এবং তারপরই আমরা জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) দাখিলের প্রস্তুতি নেবো বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এর মধ্য দিয়েই দল হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক মামলা করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলীরা।
জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি গত ১৮ আগস্ট নথিভুক্ত হয়। এর পর থেকেই জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান। সংশ্লিষ্টদের আশাবাদ, তদন্ত শেষ করে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই প্রতিবেদন দেবেন তদন্ত সংস্থা। তার ভিত্তিতে নিয়ম অনুযায়ী প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবেন। আর তার পরই ট্রাইব্যুনাল এ অভিযোগ আমলে নিলে জামায়াতের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
উল্লেখ্য, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। বিচারিক কার্যক্রম দ্রুততর করতে গত বছরের ২২ মার্চ গঠিত হয় দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল। গত ৩ বছর ৯ মাসে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের ভিত্তিতে এক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
এছাড়াও দুই ট্রাইব্যুনাল মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও ৮টি মামলার রায়, যেগুলোতে আরও ৯ যুদ্ধাপরাধীর সাজা ঘোষিত হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭ জনই পেয়েছেন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১ জনের ৯০ বছর ও একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্য এক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়ে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। বর্তমানে দুই ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে আরও ৫ জনের, বিচার শুরু হতে যাচ্ছে ২ জনের, তদন্ত চলছে আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে।
আর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সব মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন অথবা হতে যাচ্ছেন মোট ২৯ ব্যক্তি এবং দলগতভাবে জামায়াত।
প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম আরও বলেন, এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ পর্যন্ত দেওয়া প্রায় প্রতিটি রায়ের পর্যালোচনায় জামায়াতকে একটি ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন বলে অভিহিত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দলবদ্ধভাবে তাদের মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের কথাও বলা হয়েছে।
জামায়াতের বিরুদ্ধে কি ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের বই পু্স্তক, সে সময়ের পত্রিকা, বিভিন্ন নিবন্ধ থাকছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে বিশেষজ্ঞ সাক্ষীরাও সাক্ষ্য দিতে আসবেন।
জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টেশন (বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, দলিল) তৈরি করছি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা, দেশের বাইরের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি থেকেই বেশিরভাগ দলিল পত্র নিয়েছি আমরা, যেগুলো আমাদের প্রতিবেদন তৈরিতে অনেকাংশেই সাহায্য করেছে।
মতিউর রহমান বলেন, আমরা এতোদিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছি, কিন্তু জামায়াত একটি সংগঠন। ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা করেছি, সেভাবে একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা হবে না, দুটো ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়া।
কোন কোন বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছেন? জানতে চাইলে মতিউর রহমান বলেন, জামায়াতের অতীত কার্যকলাপ, গঠনতন্ত্র, হাইকমান্ড ইত্যাদি বিষয়ের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের কর্মকাণ্ডের যেসব যেসব তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে সেগুলোসহ অতীত এবং বর্তমান সময়ে করা তাদের অপরাধগুলোও এ তদন্তে প্রাধান্য পাবে।
মতিউর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এ মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধের বর্ণনা ও সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তার সবগুলোর ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দল হিসেবে জামায়াতের ভূমিকা, তাদের নেতাদের ভূমিকাগুলোকে অপরাধ হিসেবে দেখতে হবে। আর সংগঠনের নেতাদের কার্যকলাপের দায়ভার সংগঠনের ওপর বর্তায়। এটা শুধু জামায়াতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, বিশ্বব্যাপী এ নীতিই অনুসরণ করা হয়।
যারা একাত্তরে জামায়াতের সদস্য হয়ে বিভিন্ন অপরাধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে সশস্ত্র বিরোধিতায় অংশ নিয়েছেন, স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে কাজ করেছেন তাদের কর্মের দায়ভারও জামায়াতকে নিতে হবে। কারণ, তারা এই দল ও তার নেতৃত্বে গড়া পাকিস্তানি হানাদারদের বিভিন্ন সহযোগী বাহিনীর (রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি ইত্যাদি) হয়ে কাজ করেছেন।
জামায়াতের বিরুদ্ধে বিস্তৃত পরিসরে চলমান এই তদন্ত কাজকে অত্যন্ত কঠিন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কঠিন কাজ। কিন্তু আমরা আশাবাদী, খুব তাড়াতাড়িই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেবো।
একই কথা বলেন তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সম্বন্বয়ক আব্দুল হান্নান খানও। তিনিও বলেন, কঠিন কাজ। কিন্তু বিচারের মুখোমুখি জামায়াতকে দাঁড়াতেই হবে।
তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, আমরা মনে করি, জামায়াত কোনোভাবেই ইসলামিক রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নয়। তারা যথার্থই একটি ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন (অপরাধী সংগঠন)।
তিনি বলেন, এই জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। তারপর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশেও তারা তাদের সেই একই ধারা অব্যাহত রেখেছে।
দলের বিচার প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে দলের বিচার হয়েছে, এটা আমরা জানি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এ প্রথমে দলের বিচারের বিষয়টি ছিল না, আইনটির সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আইনটিতে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, সেখানে দলের বিচারের বিষয়টি সংযুক্ত করে সীমাবদ্ধতা দূর করা হয়েছে। তাই দলের বিচার করতে এখন আর কোনো বাধা নেই।
সংশোধিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে একটি দলের শাস্তি কি হবে সে বিষয়ে কিছু লেখা নেই বলে জানতে চাইলে তুরিন আফরোজ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর ধারা ২০ এ স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে, অপরাধের ভয়াবহতার ওপর নির্ভর করে অপরাধীর সাজা হবে। এটি একটি দলের ক্ষেত্রেও আদালত বলতে পারেন। আদালত দলটি নিষিদ্ধ করতে পারেন, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারেন, জরিমানা করতে পারেন কিংবা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন।
দলটির শাস্তি নির্ধারণের জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন নেই বলেও জানান তুরিন আফরোজ।
এটি অন্যান্য যে কোনো মামলার চেয়ে অন্যরকম এবং বড় একটি মামলা। অনেক তদন্তের বিষয় আছে এখানে। আর জামায়াতের বিচারের জন্য তাদের বিরুদ্ধে থাকা তথ্য-প্রমাণগুলো এখন আমাদের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান।
জামায়াতের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত সর্ম্পকে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজও বলেন, আমাদের কাছে ‘মোর দ্যান এনাফ এভিডেন্স’ রয়েছে।
ব্যারিস্টার তুরিনের মতে, ট্রাইব্যুনাল কয়েকটি রায়ের পর্যবেক্ষণে জামায়াতকে ‘অপরাধী সংগঠন’ বলায় তদন্তে সুবিধা হয়েছে। বিশেষ করে যখন দলটির শীর্ষ নেতা গোলাম আযম, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মামলার রায়ে একাত্তর সালে জামায়াতের ভূমিকার কথা বলা হয়, তখন সেটি তদন্তকাজে অনেক সহায়তা করেছে।
তুরিন বলেন, এই ব্যক্তিরা কিন্তু কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেননি, দলের ভাব দর্শনের কারণেই করেছিলেন। একটা দলের অধীনে থেকেই তারা এ অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া গত ৯টি রায়ের প্রায় সবকটিরই পর্যালোচনায় ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে একটি ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে বলা হয়, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে রক্ষা করতে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা দিতে আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলে। আলবদর ও আলশামস বাহিনী ছিল রাজাকার বাহিনীরই দু’টি শাখা।
এসব বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে। বিশেষ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের শেষ মুহূর্তে আলবদর বাহিনী দেশের শত শত বুদ্ধিজীবীকে ধরে হত্যা ও নির্যাতন করে’।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গঠন করা হয়। এছাড়া জামায়াতের সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় রাজাকার বাহিনী। এ আধা সামরিক দু’টি বাহিনীর মধ্যে রাজাকাররা পাকিস্তান সরকারের বেতনভুক্ত ছিল। এসব বাহিনীর মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, দেশান্তরের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে। ওইসব বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর হাতে। এর প্রমাণ একাত্তরে দৈনিক সংগ্রামসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জামায়াত নেতাদের প্রকাশিত বক্তব্য-বিবৃতি। ইসলাম রক্ষার নামে জামায়াত মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী মানুষকে দুস্কতিকারী ও ইসলামের শক্র হিসেবে উল্লেখ করেছে’।
‘নিরস্ত্র মানুষ, হিন্দু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক, বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অপকর্মের সঙ্গে সহযোগী বাহিনী হিসেবে জামায়াতের গড়া রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধের সংশ্লিষ্ট থাকে’।
অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মামলার রায়ে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা ১৯৭১’ নামের একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জামায়াত সম্পর্কে বলা হয়, ‘জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি সামরিক জান্তাকে সমর্থন করে’। রায়ে আরো বলা হয়, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিশেষ কর্মকর্তাদের দিয়ে আলবদর বাহিনী পরিচালনা করা হতো’।
ওই রায়ে রায়ে বলা হয়, ‘দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র। এ পত্রিকায় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান গর্ভনর লে. জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির ও শান্তি কমিটির সদস্য অধ্যাপক গোলাম আযমের বৈঠক নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়’।রায়ে বলা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করতে শান্তি কমিটিতে জামায়াতে ইসলামী প্রধান ভূমিকা পালন করে’।
১৯৭১ সালের ২০ জুন দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার এক প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে রায়ে বলা হয়, ‘এই জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম আযম পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে এক সমাবেশে স্বাধীনতার সপক্ষের ব্যক্তিদের দুস্কৃতকারী হিসেবে উল্লেখ করেন’।
১৯৯২-৯৩ সালে শ্রীলঙ্কায় দায়িত্বরত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানীর লেখা ‘পাকিস্তান বনাম মসজিদ ও সশস্ত্র বাহিনী’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে রায়ে বলা হয়, ‘মূলত পাকিস্তানি বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও পরিকল্পনা ছিল এক ও অভিন্ন। জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের কর্মীদের বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গঠন করা হয়। এ বাহিনী অধ্যাপক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসকদের হত্যা করে’। (দেশবিদেশ
No comments:
Post a Comment